Thursday, February 15, 2018

চারটি মজার গল্প

    February 15, 2018   No comments


মেঠো ইঁদুর ও শহুরে ইঁদুর

একবার এক গণ্যমান্য শহুরে ইঁদুর এল এক সাধারণ মেঠো ইঁদুরের কাছে। মেঠো ইঁদুর বাস করত এক মাঠে। সে তার অতিথিকে খেতে দিল যা তার ছিল-- মটর ও গমের দানা।
গণ্যমান্য ইঁদুর একটু খুঁটে খেয়ে বলল, “তোমার খাবার এতই অপুষ্টিকর বলেই তুমি এমন রোগা। এসো, আমার কাছে, দেখো কীভাবে আমরা থাকি।”
তখন মেঠো ইঁদুর চলল শহুরে ইঁদুরের কাছে। রাতের জন্য তারা মেঝের নিচে অপেক্ষা করল। লোকেরা এসে খেয়ে চলে গেল। তখন শহুরে ইঁদুর তার অতিথিকে খাবার ঘরে নিয়ে চলল এক গর্ত দিয়ে। তারা দুজনেই চড়ে বসল টেবিলের উপর। সাধারণ মেঠো ইঁদুর জীবনে কখনও এমন ভালো খাবার চোখেও দেখেনি।
সে বলল, “তুমি ঠিক বলেছ, আমাদের জীবন খুবই খারাপ। আমিও শহরে বাস করতে চলে আসব।”
একথা বলতে না বলতেই টেবিল কেঁপে উঠল। আর দরজা দিয়ে মোমবাতি হাতে নিয়ে ইঁদুর ধরতে লোক ঢুকল ঘরে। তারা কোনোক্রমে গর্তে ঢুকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছিল।
“না!” বলল মেঠো ইঁদুর, “এর চেয়ে আমার মাঠে বাস ঢের ভালো। সেখানে এমন মিষ্টি খাবার নেই ঠিকই, তবে এমন ভয়ের কোনো কারণও নেই।”


সাগর, নদী ও ছোটনদী
একজন লোক আরেকজনের সঙ্গে তর্ক করে বলল, সে প্রচুর পান করতে পারে।
সে বলল, “আমি পুরো সাগরটাই পান করে ফেলতে পারি।”
“কিছুতেই তুমি তা পার না।”
“নিশ্চয়ই পারি। এসো, বাজি ধরা যাক। এক হাজার রুবল বাজিতে আমি পুরো সাগর পান করতে পারি।”
পরদিন সকালে সবাই মিলে সেই লোকটির কাছে এসে হাজির।
“কী হে! যাও সমুদ্র পান কর অথবা এক হাজার রুবল দাও।”
সে বলল, “আমি বলেছিলাম সমুদ্র পান করব, কিন্তু নদীকেও পান করব এমন কথা তো আমি বলিনি। নদী ও ছোট নদীতে বাঁধ দাও, যাতে এর জল সমুদ্রে না পড়ে। তবেই আমি সমুদ্রকে পান করব।”

ঈগল ও শেয়াল
এক ঈগল এক শেয়ালছানা ধরে নিয়ে চলল। শেয়াল মা গভীর দুঃখে অনেক কাকুতিমিনতি করল।
কিন্তু ঈগল তা শুনল না। সে ভাবল, “অনেক উঁচুতে পাইন গাছে আমার বাসা। শেয়াল আমার কী আর ক্ষতি করতে পারবে? সে আমার নাগালই পাবে না।”
এই ভেবে ছানাটিকে নিয়ে চলল। শেয়াল মা দৌড়ে গেল মাঠে, লোকের কাছ থেকে আগুন নিয়ে পাইন গাছে বয়ে আনল। সে সবে গাছে আগুন লাগাতে যাচ্ছে। এমন সময় ঈগল ক্ষমা চেয়ে তাকে তার বাচ্চা ফেরত দিল।

বেড়াল ও শেয়াল
এক বেড়াল শেয়ালকে বলছিল কীভাবে কুকুরদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করা যায়।
“আমি কুকুরদের মোটেই ভয় পাই না।” বলল বেড়াল, “কেননা আমার একটা কৌশল জানা আছে।”
আর শেয়াল বলল, “মাত্র একটা কৌশলের সাহায্যে কীভাবে তুমি কুকুরদের হাত এড়াও? আমার জানা আছে এমন সাতাত্তরটি কৌশল।”
যখন তারা কথাবার্তা বলছিল সেই সময় একদল শিকারি তাদের কুকুর নিয়ে সেই পথে যাচ্ছিল। বেড়াল তার জানা একটিমাত্র উপায়ই ব্যবহার করল। সে একটি গাছে চড়ে বসল আর কুকুরেরা তার নাগাল পেল না। আর শেয়াল তার জানা সবগুলো উপায়কেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করল কিন্তু কোনোটাই তার কাজে এল না এবং কুকুরেরা তাকে ধরে ফেলল।

বাঁদর ও শেয়াল
একদিন জন্তুরা সকলে মিলে বাঁদরকে তাদের নেতা নির্বাচন করল।
শেয়াল বাঁদরের কাছে এসে বলল, “তুমি এখন আমাদের প্রধান, আমি তোমার সেবা করতে চাই। এই বনের মধ্যে এক জায়গায় আমি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছি, চল আমি তোমাকে দেখাব।”
বাঁদর খুব খুশি হয়ে শেয়ালের সঙ্গে চলল। শেয়াল বাঁদরকে এক ফাঁদের কাছে এনে বলল, “এই সেই জায়গা। তুলে নাও সব, তোমার আগে আমি কিছু নিতে চাই না।”
বাঁদর যেই না ঐ ফাঁদে তার থাবা ঢুকিয়েছে অমনি সে ধরা পড়ে গেল। তখন শেয়াল ছুটে অন্য জন্তুদের কাছে গেল এবং বাঁদরকে দেখিয়ে বলল, “দেখো তোমরা, এমন নেতা নির্বাচন করেছ যে কিনা ফাঁদে ধরা পড়ে এমনই তার বুদ্ধি।”


Khalid Hasan

About Khalid Hasan

Author Description here.. Nulla sagittis convallis. Curabitur consequat. Quisque metus enim, venenatis fermentum, mollis in, porta et, nibh. Duis vulputate elit in elit. Mauris dictum libero id justo.

Previous
Next Post
No comments:
Write comments

Get updates in your email box

Complete the form below, and we'll send you our recent update.

Deliver via FeedBurner
© 2018 পিঁপড়াবিদ্যা ™ । ডিজাইন করেছেন মো: খালিদ হাসান । সর্বসত্ত সংরক্ষিত ®